সংশোধিত ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিকতা নিয়ে আজ শুনানি হওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টে। উল্লেখ্য, সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বাংলায়। দেশের অন্যান্য সব রাজ্যেও বিক্ষিপ্ত প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে এই নতুন আইনের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে এই আইনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একাধিক বিরোধী নেতা। সেই সব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শীর্ষ আদালতে শুনানি হওয়ার কথা। এদিকে ওয়াকফ হিংসার জেরে বাংলার মুর্শিদাবাদে হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর পুত্র চন্দন দাসের হত্যার প্রতিবাদে আজ রাজ্য জুড়ে হিন্দু শহিদ দিবস পালনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। (আরও পড়ুন: 'ওদের পিছনে সময় নষ্টের কোনও মান♎ে হয় না', পাকিস্তানকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য জয়শংকরের)
আজ প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে সংশোধিত ওয়াকফ আইনের ইস্যুতে প্রায় ১০টি আবেদনের শুনানি হবে। সেই সুপ্রিম বেঞ্চে থাকবেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনও। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন লোকসভার সাংসদ তথা এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি, আম আদমি পার্টির বিধায়ক আমানাতুল্লা খান, অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস💫, মৌলানা আরশাদ মাদানি, কেরল জামিয়াতুল উলেমা, আঞ্জুম কাদরি এবং আরও অনেকে।
কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন এবং নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী ওয়াকফ আইনে সংশোধনীর সমালোচনা করেছে। তাদের যুক্তি, এই আইন মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি না হওয়া পর্যন্ত আইন প্রয়োগে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন আবেদনকারীরা। আবেদনকারীরা এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছে যে এটি সংবিধানের ১৪ নং অনুচ্ছেদ (সাম্যের অধিকার), অনুচ্ছেদ ২৫ (ধর্মীয় স্বাধীনতা), অনুচ্ছেদ ২৬ (ধর্মীয় বিষয় পরিচালনার স্বাধীনতা), অনুচ্ছেদ ২৯ (সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষা) এবং ৩০০-এ (সম্পত্তির অ🌳ধিকার) সহ বেশ কয়েকটি সাংবিধানিক অধღিকার লঙ্ঘন করে।
এদিকে একই সঙ্গে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারও সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে। সর🐎কারের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে, তাদের বক্তব্য না শুনে যেন কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া না হয়। এদিকে, বিজেপি শাসিত ছয়টি রাজ্য ন𓄧তুন সংশোধিত ওয়াকফ আইনকে সমর্থন করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং অসম ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বাতিল বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রশাসনিক ও আইনি জটিলতা থেকে মুক্তি চেয়ে শীর্ষ আদালতে পৃথক আবেদন দায়ের করেছে। এই পিটিশনগুলিতে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে ওয়াকফ বোর্ড এবং সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে সমস্ত ধরনের বৈষম্য দূর করার জন্য এই আইনটি আনা হয়েছে এবং আদালতকে অবশ্যই এই বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, তিনি রাজ্যে সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর হতে দেবেন না। তা সত্ত্বেও বিগত দিনে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ থেকে ঘরছাড়া হয়েছে কয়েকশো পরিবার। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছে বিজেপি। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের বছর খানেক আগে শুরু মেরুকরণের রাজনীতি।