🎀 তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দে বলি বাবলা সরকার খুনে এক শ্যুটারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বিহারের পূর্ণিয়া জেলা থেকে আসরার নামে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি। ধৃতকে জেরা করে খুনের খুঁটিনাটি তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
🥂গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজার শহরের মহানন্দা পল্লিতে খুন হন জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি তথা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকার। সেই ঘটনার ১৭ দিন পরে পূর্ণিয়ার বাইসি থানা এলাকা থেকে আসরার নামে ২২ বছর বয়সী ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা। এই নিয়ে এই ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাবলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর সময় যে ৪ দুষ্কৃতী সেখানে ছিল তাদের একজন আসরার।
💃এই ঘটনার ইংরেজবাজার শহর তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মা নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, বাবলাকে খুন করতে ৫০ লক্ষ টাকা সুপারি দিয়েছিলেন নরেন্দ্রনাথ। তবে কেন তিনি বাবলাকে খুন করতে চেয়েছিলেন তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। ঠিক কী কারণে খুন তা এখনও জানাতে পারেননি তদন্তকারীরা।
ꦚতৃণমূল সূত্রে খবর, তৃণমূলের অন্দরে বাবলার উত্থান মেনে নিতে পারছিলেন নরেন্দ্রনাথ। গত পুর নির্বাচনে তাঁকে পুরনো ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে সেখানে ভোটে দাঁড়িয়ে জেতেন বাবলা। ওদিকে নতুন ওয়ার্ডে হেরে যান নন্দু। এর পরে নন্দুর ওপর হামলা চালায় বাবলার অনুগামীরা। যার জেরে বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল নরেন্দ্রনাথকে। তখনই তিনি বাবলাকে খতম করে দেব বলে হুমকি দিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর।
♍ওদিকে এই খুনের পিছনে আরও বড় মাথা রয়েছে বলে গ্রেফতারির পর দাবি করেছেন নরেন্দ্রনাথ। সেই তত্ত্বও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ আগে পুলিশি নিরাপত্তা পেতেন বাবলা সরকার। পরে পুলিশ তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, মমতার মন্ত্রিসভার এক সদস্যের ফোনেই বাবলা সরকারের নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে পুলিশ।