মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরু এফসি শনিবার মুখোমুখি হচ্ছে আইএসএলেরꦯ কাপ জয়ের লক্ষ্যে। এবারে আইএসএল শিল্ড জিতেছিল সবুজ মেরুন শিবির। ফলে তাঁরা যে এবারের নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা দল সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে দুই লেগে🉐র বাধা টপকাতে গিয়ে তাঁদের যা নাকানি চোবানি খেতে হয়েছে, তা দেখে অনেকের মনেই সংশয় দেখা দিয়েছে আদৌ শনিবার বাগান জিতবে কিনা। যদিও সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কিন্তু কথা বলছে বাগানের হয়েই।
যুবভারতীতে হেড টু হেড (সাম্প্রতিক)
২০২২-২৩ সালে𒁃 মোহনবাগানকে ২-১ গোলে হারায় বেঙ্গালুরু এফসি
২০২৩-২৪ সালে মোহনবাগান 🍎১-০ গোলে হারাল বেঙ্গালুরুকে
২০২৪-২৫ সালে মোহনবাগান ১-০ গোলে হারাল বেঙ্♊গালুরুকে
যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে শেষ ১৪ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে মোহনবাগান। এর মধ্যে ১৩টি ম্যা🐻চে মোহনবাগান জিতেছে এবং একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। ফলে সল্টলেকে খেলা হওয়ায় মোহনবাগান দল অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকবে, তা বলাই যায়।
শেষ কোয়ার্টারে গোল বেশি কার
শেষ ১৫ মিনিটে গোল করার নিরিখে আবার সবার ওপরেই রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি । সুনীল ছেত্রীর দল এবারের আইএসএলে শেষ 🍌১৫ মিনিটে গোল করেছে ১৭টি। এর মধ্যে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে সুনীল ছেত্রী সংযুক্ত সময় গোল করে দলকে ফাইনালে তোলেন। মোহনবাগান অবশ্য শেষ কোয়ার্টারে গোল করে মাত্র ৯টি।
সুনীল দিমির ফাইনালে কত গোল?
দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে আইএসএলের ফাইনালে দুটি করে গোল রয়েছে দুই ফুটবলারের। বেঙ্গালুরুর সুনী ছেত্রী ২০১৭-১৮ 🍰মরশুমে এবং ২০২২-২৩ সালের আইএসএলের ফাইনালে ১টি করে গোল করেছিলেন। আর দিমিত্রি পেত্রাতোস ২০২২-২৩ সালের আইএসএলের ফাইনালে ২টি গোল করেছিলেন, সেবার মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
ক্লিনশিটে এগিয়ে কে?
মোহনবাগানের বিশাল কাইথ এবারের আইএসএলে ১৬টি ক্লিনশিট রেখেছেন। আর গু♑রপ্রিত স🦩িং সান্ধু এবারের আইএসএলে ১০টি ম্যাচে ক্লিনশিট রাখতে পেরেছেন। অর্থাৎ এই বিষয়ে বাগানের রক্ষণভাগ এগিয়ে আছে।
জেমি গোল করলে বাগান হারে না
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শেষ দুই ম্যাচেই মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোলের দেখা পায়নি বেঙ্গালুরু এফসি। এদিকে পরিসংখ্যান বলছে ৯টা ম🐟্যাচে জেমি ম্যাকলারেন গোল করেছেন মোহনবাগানের হয়ে। তার মধ্যে ৮টি ম্যাচই জিতেছে সবুজ মেরুন শিবির, একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। অর্থাৎ জেমি গোল করলে বাগান হারে না আইএসএলে।
আইএসএল প্লে অফে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলার𒅌 নজির রয়েছে মনবীর সিংয়ের। তিনি ১৮টি আইএসএল প্লে অফের ম্যাচে খেলেছেন। আর মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বোস মোট ১৭বার আইএসএল প্লে অফে খেলেছেন। এদিকে সুনীল ছেত্রীও মোট ১৭বার আইএসএলের প্লে অফে খেলেছেন।
চারবার করে আইএসএল ফাইনালে দুই দল
মোহনবাগান শিবির চারবার আইএসএলের ফাইনালে উঠেছে, ২০২০-২১, ২০২২-২৩🦄, ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ সালে। আর বেঙ্গালুরু এফসি ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০২২-২৩ এবং ২০২৪-২৫🌊 সালে আইএসএল ফাইনালে উঠেছে। ফলে দুই প্রতিপক্ষের লড়াই যে রোমহর্ষক হবে শনিবাসরীয় যুবভারতীতে, সেকথা বলাই বাহুল্য।