মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে 'শুট অ্যাট সাইট' (দেখামাত্র গুলি করে মারা)-এর নিদান দিয়ে পোস্ট করেছিলেন এক ব্যক্তি! তাঁর বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক সোশাল মিডিয়া পোস্ট করার অভিযোগ উঠতেই পুলিশ সেই ব্যক্তিকে পাকড়াও করা নিয়ে গেল থানায়। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, ত🍸াঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্য়ক্তির নাম - সুরজিৎ ঘড়ুই। তিনি একজন পেশাদার গৃহশিক্ষক। থাকেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানা এলাকার বরিজপুরের কানপুর গ্রামে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, তিনি নাকি বিজেপি সমর্থক। অন্তত তাঁরা তেমনটাই জা𝐆নেন।
কিন্তু, হঠাৎ করে রাজ্যের মꦐুখ্যমন্ত্রী এবং ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে নিয়ে এমন পোস্ট করতে গেল♛েন কেন সুরজিৎ? সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা তথ্য অনুসারে - সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী ও অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়ার জন্যই খুব সম্ভবত এই পোস্ট করেছেন সুরজিৎ।
প্রসঙ্গত, এই ইস্যুতে বিজেপি, সিপিআইജ(এম)-সহ রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা প্রায়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, গোটা তৃণমূল কংগ্রেস দল, এসএসসি কর্তৃপক্ষ, এমনকী রাজ্য সরকারেরও সমালোচনা করছেন। বহু সাধারণ মানুষও এই ইস্যুতে নিজেদে ক্ষোভ সোশাল মিডিয়ায় উগড়ে দিয়েছে। কিন্তু, তা বলে 'শুট অ্যাট সাইট'-এর মতো মন্তব্য করে বা নিদান দিয়ে পোস্ট! এটা কাম্য নয় বলেই মনে করেন মগরাহাট পশ্চিমের যুব তৃণমূল সভাপতি ইমরান হাসান মোল্ল♊া। তিনি তাই সটান পুলিশের কাছে গিয়ে নালিশ ঠুকে দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় উস্তি থানায় সুরজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এই ইমরান হাসান মোল্লাই। তাঁর করা অভিযোগ অনুসারে - গতকাল (১১ এপ্রিল, ২০২৫) সংশ্লিষ্ট পোস্টটি 🍬করেছিলেন বিজেপি সমর্থক হিসাবে পরিচিত ও গৃহশিক্🧔ষক।
অভিযুক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে আরও জানা গিয়েছে, তিনি নাকি প্রায়ই তাঁর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে হিংসাত্মক ও প্ররোচনা বা উস্কানিমূ꧟লক পোস্ট করেন। পুলিশ এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, এ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের এক পরিচিত মুখ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনিও এই ঘটনা শুনেছেন এবং তাঁর ধারণা, ওই ব্যক্তির মস্তিষ্কে কোনও সমস্যা রয়েছে! তবে, ওই তৃণমূল নেতা এও বলেন, যদ💃ি তদন্তে দেখা যায় যে অভিযুক্ত মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ, তাহলে অবশ্যই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুসারে কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত।